Posts

Showing posts from July 24, 2021

মৃত্যুর কোন সময় নেই, মরণ মুহুর্তে কি করতে হবে।

Image
যে কোন সময়ে মৃত্যু হবে, কিভাবে মরবে, মরণ পদ্ধতিকে জেনে রাখা দেশনায় ভদন্ত পঞ্ঞাদীপ ভিক্খু মহোদয়। জন্ম যেহেতু হয়েছে, মৃত্যু একদিন হবে এটা চিন্তন সত্য। কিন্তু কিভাবে মৃত্যু হবে তা কেউ জানে না। মৃত্যুর পর কোন গতি হবে তাও নিশ্চিত নয়। তাই ইহ জন্মে পূণ্য কর্ম করাই বুদ্ধিমানের কাজ। মৃত্যুর সময় পাপ কর্মের বিষয়ে মানুষের মনে অনুশোচনা হয়। এই অনুশোচনা করার কারনে মানুষ মৃত্যুর পর অপায় গতি হতে পারে। তাই মৃত্যুর সময় কি করা উচিত কি করা উচিত নয় তা নিয়ে মূল্যবান দেশনা করেছেন শ্রদ্ধাভাজন ও পরম কল্যাণমিত্র ভদন্ত পঞ্ঞাদীপ থের মহোদয়। আসুন সাধুবাদের সহিত ভান্তের মূল্যবান দেশনার মূল বিষয় উপলব্দি করি এবং নিজ জীবনে প্রয়োগ করি। প্রিয় উপাসক- উপাসিকাগণ মরণের পদ্ধতিকে প্রায়ই সময় দেশনা দিয়ে থাকি কারণ যেন মরণের মুহুর্তে নাম-রূপকে উদয়ব্যয় বিদর্শন করতে সহজ হয়। কেউ কেউ মরণের মুহুর্তে তির্যক লোকে যাবার জন্য, প্রেত লোকে যাবার জন্য, অসূর, নিরয় লোকে যাবার জন্য নিজের চিত্তটি অতীত কৃতকর্মকে নিয়ে কৌকৃত্য (অনুশোচনা) করে। কিভাবে করে? আমি মারা গেলে পরিবারে পুত্র-কন্যারা কিভাবে থাকবে। নাতি নাতনীরা কিভাবে থাকবে। এ কাজ কর্মগুলোকে কে

নতুন ভবে পুনজন্ম মানে কি।

Image
নতুন ভবে পুনজন্ম দেশনায় ভদন্ত পঞ্ঞাদীপ থের মহোদয়। " যাযং তণ্হা পোনোব্ভবিকা "- তৃষ্ণা নতুন ভবের জনক। "ভব নেত্তি"- তৃষ্ণা ভবকে বহন করে। 'ভবগামী'- তৃষ্ণার পুনজন্মের কর্মবীজ। কর্ম ও সংসারঃ পৃথিবীর অন্যান্য ধর্মেরও কর্মের কথা বলা আছে। তবে বুদ্ধের সু-ব্যাখ্যাত কর্মের ব্যাখ্যার সাথে সারগর্ভ মিল নেই সেদিকে খেয়াল রেখে লিখছি। অন্য কোন মতবাদের কর্মঃ ব্রহ্মার সৃষ্ট আত্মা সংসার বিচরণ করে। দেহঘর ভেঙ্গে গেলে কর্তার ইচ্ছামতে আরেক নতুন ঘর তৈরি করে দেয়। মরে গেলে তার আত্মা অন্য আরেক দেহের প্রবেশ করে দেয়। এটি তাদের মতবাদ। সাতি ভিক্ষুর দৃষ্টিঃ উদয়-বিলয় অনন্ত বীথি। এটি অচিন্তনীয়। বুদ্ধের সময়ে "সাতি নামক ভিক্ষু" মিথ্যাদৃষ্টি জং ধরে আত্মার কথা বলেছিল যে আত্মা সুখ-দুঃখ অনুভব করে। এটি উপরোক্ত মতবাদের মত। চিত্ত ও রূপ কর্তার ব্যবহৃত জিনিসের মত। চিত্ত ও রূপগুলো আত্মার অধীন। " তদেব বিঞ্ঞাণং সংসরাতি " আত্মার সংসার বিচরণ করে। কর্ম নিয়ে বুদ্ধ কি বলেছিলেন? বুদ্ধ বলেছিলেন " বিঞ্ঞাণং পটিচ্চ সমুপ্পন্নং " চিত্ত নামক বিজ্ঞাণটি কার্যকারনে উৎপন্ন হয় (বিষয়ালম্বনের কারনে

সহম্পতি ব্রহ্মা চতুরার্য্যসত্য প্রকাশের জন্য প্রার্থনা।

Image
সহম্পতি ব্রহ্মা চতুরার্য্যসত্য প্রকাশের জন্য প্রার্থনা সম্পর্কে দেশনা করেছেন ভদন্ত পঞ্ঞাদীপ থের মহোদয়। কশ্যপ বুদ্ধের শাসনে প্রথম ধ্যান লাভী 'সহক' নামক ভিক্ষু প্রয়ান হলে প্রথম ধ্যানভুমি ব্রহ্মলোকে সহম্পতি নামে উৎপন্ন হন। সেই সহম্পতি ব্রহ্মা বুদ্ধের মনোভাবকে জেনে- ওহে সত্ত্বগণ! এ লোকজগত অনর্থক ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে বলে উচ্চস্বরে দেব ব্রহ্মাগণকে আহ্বান করে বুদ্ধের সমক্ষে এসে রত্নমালার দ্বারা পূজা করতঃ গুণের অতুলণীয়, ভাগ্যের সৌভাগ্য, অনুত্তর পুরুষোত্তম ত্রিলোকে দীপ্ত বুদ্ধ আপনি ধর্মভেরি বাজিয়ে দেন। সত্ত্বগণের দুঃখমুক্তির জন্য নিজের সার্থ ত্যাগ করে আপনি পারমী পূরণ করেছিলেন। সুমেধ জন্ম থেকে আমি সংসার থেকে মুক্ত হলে আমার সাথে সত্ত্বগণকেও সংসার থেকে মুক্ত করব। আমি চার সত্যজ্ঞান লাভ করলে সত্ত্বগণকেও চার আর্যসত্য জ্ঞান প্রকাশ করব বলে বলেছিলেন। সর্বজ্ঞ বুদ্ধ আপনি ধর্মদেশনা না করলে কে জগতে উৎপন্ন হয়ে দেশনা করবেন। বুদ্ধ ! বর্তমানে ভানধরা স্বঘোষিত মগধজাত তির্থিক পরিব্রাজকরা মিথ্যার পথ দেখিয়ে অপায় দরজা খুলে নির্বানের পথ বন্ধ করে ফেলেছে। বুদ্ধ আপনি সত্ত্বগণের প্রতি অনুকম্পা করে সেই অপায়ের দরজাকে বন

ধর্মচক্র প্রবর্তন সূত্রের মানে কি।।

Image
ধর্মচক্র প্রবর্তন সূত্র দেশনায় ভদন্ত পঞ্ঞাদীপ থের মহোদয়। শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা তিথির সাথে বুদ্ধের নব আবিষ্কৃত সত্য ও দুঃখ মুক্তির নৈর্বাণিক ধর্ম প্রচারের শুভ সূচনা হয়। এই আষাঢ়ী পূর্ণিমা তিথিতে মহামতি গৌতম বুদ্ধ পঞ্চবর্গীয় শিষ্যদের নিকট ধর্মচক্র প্রবর্তন সূত্র দেশনা করেন। শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা তিথিতে এই ধর্মচক্র প্রবর্তন সূত্র নিয়ে ত্রিপিটকের আলোকে সহজ ও পূঙ্খানুপূঙ্খভাবে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন ভদন্ত পঞ্ঞাদীপ থের মহোদয়। আজ শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা ২৫৬৫-বুদ্ধাব্দ, ২৩শে জুলাই ২০২১ইং, শুক্রবার। ধর্মদেশনার প্রারম্ভে- বুদ্ধ, ধর্ম ও সংঘের অনন্তগুণকে বন্দনা করে বুদ্ধের সর্বপ্রথম দেশিত নবলোকোত্তর ধর্মচক্রপ্রবর্তন সুত্র অনুবাদ দেশনা উপকার করছি। ধর্মচক্র সুত্রঃ (ক) ভিক্খূনং পঞ্চবগ্গীনং, ইসিপতন নামকে। মিগদাযে ধম্মবরং, যং তং নিব্বান পাপকং। (খ) সহম্পতি নামকেন, মহাব্রহ্মেন যাচিতো। চতুসচ্চং পকাসন্তো, লোকনাথো আদেসযি। (গ) নন্দিতং সব্বদেবেহি, সব্ব সম্পত্তি সাধকং। সব্বলোকহি তত্থায, ধম্মচক্কং ভণামহে। ধর্মচক্র নিদানঃ ভগবা বুদ্ধ এক সময় বারাণসী রাজ্যে ঋষিপতন নামক মৃগদের অভয় অরণ্য মৃগদাবনে অবস্থান করেছিলেন। সেই সময় ভ