অনিত্য দর্শন কাকে বলে।
অনিত্য দর্শন দেশনায় ভদন্ত পঞ্ঞাদীপ ভিক্খু মহোদয়। বুদ্ধের শাসনে যেটি সবচেয়ে অর্থবহ সেটি হল অনাত্ম। এ অনাত্মকে পর্যায়ক্রম উপলব্ধি করা প্রচুর বিরিয (বীর্য) প্রয়োগ করতে হয়। এ অনাত্মে পৌঁছতে হলে প্রথমে অনিত্যকে দর্শন করতে হয়। এ পঞ্চস্কন্ধ (দেহ-মন) ক্ষণভঙ্গুর উদয়ব্যয় অনিত্য। এ স্কন্ধ সমষ্টি ক্ষণভঙ্গুর উদয়ব্যয়ে পীড়িত দুঃখ স্কন্ধকে দর্শন করতে সক্ষম হলে অনাত্মকে সুস্পষ্ট উপলব্ধি করতে পারে। তাই বুদ্ধ মেঘিয ভিক্ষুকে দেশনা করেছিলেন- অনিচ্চ সঞ্ঞিনো মেঘিয অনাত্ত সঞ্ঞা। সণ্থাতি, অনাত্তঞ্ঞী অস্মিমান সমুগ্ঘাতং। পাপুণাতি, দিট্ঠেব ধম্মে নিব্বানং। হে প্রিয় মেঘিয! অনিচ্চ সঞ্ঞিনো- অনিত্য সংজ্ঞা (অনিত্যের লক্ষণ) জানার ব্যক্তি। অনাত্ত সঞ্ঞা- নিজের নয় অনাত্মার সংজ্ঞা। সণ্থাতি- আপনিই প্রতিভাত হয়। অনাত্ত সঞ্ঞী- অনাত্ত সংজ্ঞাকে জানার ব্যক্তি। অস্মিমান সমুগ্ঘাতং- আমিত্ব নামক মান অহুকারকে ছেদন করে। পাপুণাতি- পৌঁছে। দিট্ঠেব ধম্মে- প্রত্যক্ষ জীবনেই। নিব্বানং- সোপাদিসেস নির্বানে। (পাপুণাতি-পৌঁছে)। মনে রাখা উচিত- এ দেশনাকে সমাহিত চিত্তের সহিত খেয়াল (স্মৃতি) রা...