Posts

Showing posts from July, 2021

হঠাৎ একদিন বেড়িবাঁধ ভ্রমণ।

Image
হঠাৎ একদিন বেড়িবাঁধ ভ্রমণ। বেড়িবাঁধ, চট্টগ্রাম যা পতেঙ্গা সীবিচ সংলগ্ন উত্তর দিকে। New tourist spot north of Patenga ‍sea beach. আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি পতেঙ্গা সীবিচ এর অদূরে চট্টগ্রাম মহানগরীর আরো একটি নির্মাণাধীন অপূর্ব পর্যটন স্পট। যা আকমল আলী রোড বেড়িবাঁধ নামেও পরিচিত। এটি পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত থেকে কিছুটা উত্তর দিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী রোডের শেষ মাথায় অবস্থিত। সৌভাগ্যক্রমে প্রথমবারের মত হঠাৎ একদিন বেড়ীবাঁধ এসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিজে উপভোগের পাশাপাশি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আপনিও চাইলে বেড়িবাঁধ ভ্রমণ করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। এখানে দেখার মত কি আছে ? এই বেড়িবাঁধটি পতেঙ্গা সীবিচ থেকে হালিশহর পর্যন্ত বড় একটি প্রজেক্ট নিয়ে নান্দনিক রূপে তৈরী করা হচ্ছে। বেড়িবাঁধ উপর সুপ্রসস্থ লিংক রোড তৈরী করা হয়েছে। যা ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী। এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থী বেড়িবাঁধ সংলগ্ন সাগড়পাড় দেখার জন্য ভিড় জমায়। এখানে হাজার হাজার জেলেদের মাছ ধরার ছোটবড় নৌকা, মাঝারী জাহাজ, ট্রলার দেখতে পাবেন। পাশাপাশি জেলেদের জীবনযাত্রা, সাগড়পাড় ঘেষা মা

পথ প্রদর্শক কেন দরকার।

Image
পথ প্রদর্শক দরকার আলোচনায় ভদন্ত পঞ্ঞাদীপ ভিক্খু মহোদয়। বুদ্ধের সময়ে উপতিষ্য ও কোলিত কার সান্নিধ্যে গিয়ে থাকতেন? সঞ্চয় পরিব্রাজকের সান্নিধ্যে গিয়ে থাকতেন। ওঁনারা দু'জন অগ্রশ্রাবক হবার পারমী পরিপূর্ণ হয়েছে। পারমী থাকলে- শ্রদ্ধা থাকে। বীর্য থাকে। স্মৃতি থাকে। সমাধি থাকে। প্রজ্ঞা থাকে। থাকলেও তাঁরা কার সান্নিধ্যে গিয়ে থাকেন? সঞ্চয় পরিব্রাজকের সান্নিধ্যে থাকেন। তবে স্রোতাপন্ন হতে পেরছেন কি? না, পারছেন না। পারমীবান হওয়া সত্ত্বেও ভুল গুরু সাক্ষাতের কারণে চার আর্যসত্য জ্ঞান লাভ করতে পারেননি। স্রোতাপন্ন হতে পারেননি। তাই বলেছি সঠিক গুরু সান্নিধ্য লাভ অত্যন্ত জরুরী। সঠিক গুরু সাক্ষাত পেলে- শ্রদ্ধা, বীর্য, স্মৃতি, সমাধি ও প্রজ্ঞা পরিপূর্ণ হয়ে চার আর্যসত্য জ্ঞান লাভ হয়, দৃষ্টিমুক্ত হয়। নারী-পুরুষ ধারনা থাকলেও নির্বান লাভ করতে পারে না। নারী-পুরুষ ধারনা না করে নাম-রূপ স্বভাব ধর্ম বলে জানা উচিত। উপতিষ্য (সারিপুত্র সত্ত্ব) অস্সজিত স্থবিরের সাথে সাক্ষাত পেয়ে স্রোতাপন্ন হয়েছেন। তিনি সঠিক গুরু সাক্ষাতে তা সম্ভব হয়েছেন। এদিকে গুরুর আচরণ দৃষ্টিমুক্ত নয়। দৃষ্টিমুক্ত না হলে স্রোতাপন্ন সকৃদাগামী অনাগামী অর

প্রাণীজগত কেন নিরাপদ নয়।

Image
সত্ত্বলোক/প্রাণীজগত কেন নিরাপদ নয়? আলোচনায় স্বধর্ম দেশক, বিদর্শন আচার্য ভদন্ত পঞ্ঞাদীপ ভিক্খু মহোদয়। Date-07may2021 বুদ্ধকে দেবরাজ জিজ্ঞেস করেছিলেন-এই সংসারের সত্ত্বলোকে সত্ত্বরা ভয়ভীতি অন্তরায় মুক্ত নিরাপদে থাকতে চায় কিন্তু এই সত্ত্বরা ভয়ভীতি অন্তরায় মুক্ত নিরাপদে থাকতে পারে না। বুদ্ধ এটি কিসের সংযোজন ঘটার কারণে হয়? বুদ্ধঃ দেবরাজ- ঈর্ষা মাৎসর্য (পরশ্রীকাতর, কৃপণতা) এই দু'টির সংযোজন ঘটার কারণে সত্ত্বরা ভয়ভীতি অন্তরায় থেকে মুক্ত নিরাপদে থাকতে পারে না বলে উত্তর দিলেন।   দেবরাজঃ বুদ্ধ ঈর্ষা মাৎসর্য কোত্থেকে আসে? বুদ্ধঃ এ ঈর্ষা মাৎসর্য গুলো প্রিয়-অপ্রিয় (লোভ হিংসা) থেকে আসে। দেবরাজঃ বুদ্ধ এ প্রিয় অপ্রিয় (লোভ হিংসা) কোত্থেকে আসে? বুদ্ধঃ দেবরাজ- এ প্রিয় অপ্রিয় (লোভ হিংসা) ছন্দ (ইচ্ছা) থেকে আসে। দেবরাজঃ বুদ্ধ এ ছন্দ (ইচ্ছা) কোত্থেকে আসে? বুদ্ধঃ দেবরাজ- কামবিতর্ক, ব্যাপাদ বিতর্ক, বিহিংসা বিতর্ক থেকে আসে।   দেবরাজঃ এ বিতর্ক কোত্থেকে আসে? বুদ্ধঃ দেবরাজ- তৃষ্ণা, মান, দৃষ্টি এ পপঞ্চ থেকে আসে।   দেবরাজঃ এ তৃষ্ণা, মান, দৃষ্টি এ পপঞ্চ গুলো কোত্থেকে আসে? বুদ্ধঃ দেবরাজ- তৃষ্ণা, মান, দ

মহাদান কি।

Image
মহাদান কি ?   মহাদান সম্পর্কে আলোচনা করেছেন স্বধর্ম দেশক, বিদর্শন আচার্য ভদন্ত পঞ্ঞাদীপ ভিক্খু মহোদয়। বৌদ্ধধর্মীয় বিষয়। Date-08may2021. ভোর শয্যা ত্যাগ থেকে রাত্র শয্যা পর্যন্ত নিয়ত গুরুধম্ম পঞ্চাঙ্গপূর্ণ শীল শিক্ষাপদকে দেহে পরিধেয় বস্ত্রের ন্যায় পরিধান করে রাখা অত্যন্ত কঠিন। নিত্যধ্রুব উদরপূর্তির কর্ম ব্যতিব্যস্ততা মাঝে কর্মত্রয় দ্বারে যে কোন ১টি বা পুরোটি দোষ বা পাপ অপরাধ হয়ে যেতে পারে।   উদরের দায়ে ক্রয়বিক্রয় কাজেও শীল শিক্ষাপদ স্খলন হতে পারে। পরিশ্রমের ক্লান্তি দূর করতে গিয়ে নেশা পান, নিজের সুখের জন্য নেশা বাণিজ্য কর্মটা অন্যের শিক্ষাপদ স্থলন হয়, আত্মঘাতি কর্মও হয়ে থাকে। ভিন্ন দৃষ্টি ভঙ্গিতে মিথ্যা কর্মে সফল হয় বলে মনে করতে পারে। অদত্ত সম্পদ পাহাড় গড়তেও পারে। সমাজে ঘোর অন্ধদৃষ্টি প্রতিহিংসা আগ্নির স্বভাবীও থাকতে পারে, তা বিচিত্র নয়। জীবন চলার পথে যেভাবেই সম্মুখীন হোক না, নিয়য়ত গুরুধর্ম শিক্ষাপদ গুলোকে রক্ষা করতে পারলে আত্মহিত পরহিত উপকার সাধিত হবেই।   এ নিয়ত গুরুধম্ম শীল বা শিক্ষাপদ আচরণ কখনো বৃথা যায় না। আচরণকারী ইহ ও পরকাল সহ নির্বান অব্ধি সুখি হয়ে থাকে।   এ জন্য এ শীল শিক্ষা

আগামী পৃথিবী সম্পর্কে চক্কবত্তি সূত্রে কি বলা হয়েছে।

Image
আগামী পৃথিবী চক্কবত্তি সূত্রের আলোকে দেশনা করেছেন ভদন্ত পঞ্ঞাদীপ থের মহোদয়।  Future of Earth। বৌদ্ধধর্মীয় বিষয়।  date-12may2021. Future of Earth . বর্তমান মানুষের গড়ায়ু ৭৪.৩৬ বছর। এ গড়ায়ু কমতে থাকবে, মানুষের আগামী পৃথিবীর কি পরিস্থিতি হতে পারে? সেটিকে গৌতম বুদ্ধ "চক্কবত্তি সুত্তং" দেশনায় কি বলে গেলেন সেটিকে শুনে দেখি- মানুষের গড়ায়ু প্রতি ১০০ বছরে ০১ বছর করে ক্রমশ কমতে থাকবে। কেন গড়ায়ু কমবে? দুশ্চরিত অধর্ম বৃদ্ধি হওয়ার কারণে মানুষের গড়ায়ু কমে যাবে। যেমন- মারণ বিষাক্ত অস্ত্র। পরমাণু অস্ত্র।জীবাণু অস্ত্র। বিভিন্ন অগ্নেয়াস্ত্র তৈরি বৃদ্ধি করছে। এ অস্ত্র নির্মাণের কারণে এগুলো আগামী পৃথিবীর শান্তির বিষয় তো নয় বরং করুণ পরিণতির কারণ।  সেটিকে বুদ্ধের দেশনায় যা উল্লেখ রয়েছে- পরবর্তী এমন সময়ে মানুষের গড়ায়ু ক্রমশ কমতে কমতে ১০ (দশ) বছরে দাঁড়াবে। ১০ (দশ) বছরের আয়ু মানুষের "পঞ্চবস্সিকা কুমারীকা অলং পতেয্যা"- ০৫ (পাঁচ) বছর বয়সী কুমারী গৃহিণী হবে। ১০ (দশ) বছর বয়স বলতে বর্তমান সময়ে ঘি, মাখন, মধু, তালমিঠা, পুষ্টিকর খাদ্য ছাড়া এমনকি লবন পর্যন্ত বিলুপ্ত হয়ে যাবে। বর্তমান পরিস্থিতি সময়কে

কুশল কর্মপথ ধর্ম ও সম্যকদৃষ্টি কর্ম কি।

Image
১০ প্রকার কুশল কর্মপথ ধর্ম ও ১০ প্রকার সম্যকদৃষ্টি বা দৃষ্টিঋজু কর্ম নিয়ে দেশনা করেছেন ভদন্ত  পঞ্ঞাদীপ থের মহোদয়। date-25may 2021. ১০ প্রকার কুশল কর্মপথ ধর্মঃ দান কর্ম করলে- অভাব হয় না। চরিত্র শিক্ষাপদ রক্ষা করলে- নিরোগ দীর্ঘায়ু হয়। ভাবনা করলে- ধ্যান, জ্ঞান লাভ হয়। সন্মান করলে- সন্মানীত গৌরবান্বিত হয়। সেবা করলে- যশস্বী হয়। পুণ্যদান করলে- পুণ্য বৃদ্ধি হয়। অনুমোদন করলে- পুণ্য লাভ হয়। ধর্মশ্রবন করলে- বহুশ্রুত, সংশয়মুক্ত হয় । ধর্মোপদেশ দান করলে- শ্রেষ্ঠ দান হয়। দৃষ্টি ঋজু কর্ম করলে- দুর্গতি হয় না। ১০ প্রকার সম্যকদৃষ্টি বা দৃষ্টিঋজু কর্মঃ অত্থি দিন্নং- দানের ফল আছে। নমঅত্থি যিত্থং হুত্বং- পূজার ফল আছে। অত্থি সুকতং- সুকৃতের ফল আছে। অত্থি দুক্কতং কম্মানং ফলানং- দুষ্কৃত কর্মের ফল আছে। অত্থি অযং লোকো- ইহকাল আছে বা যে কোন এক লোক থেকে মর্ত্যলোকে এসেছি অত্থি পরলোকো- পরকাল আছে বা মারা যাওয়ার কোন এক লোকে উৎপন্ন হবে। অত্থি মাতা- মাতার উপকারের গুণ আছে। অত্থি পিতা- পিতার উপকারের গুণ আছে। অত্থি ওপপাতিকা- ৩১-লোকভূমি আছে, উপপাতিক সত্ত্বা আছে। অত্থি সামণ ব্রহ্মণো- ক্লেশোপশমকারী শ্রমন ব্রাহ্মণ (আর্য) আছে।

প্রতিত্যসমুৎপাদ ধর্মে কি বলা হয়েছে?

Image
প্রতিত্যসমুৎপাদ ধর্মদেশনা করেছেন ভদন্ত পঞ্ঞাদীপ থের মহোদয়। date-25may2021. (১) অত্থগম্ভীর- কারণ গুরুগম্ভীর। (২) ধর্ম্মগম্ভীর- ফল গুরুগম্ভীর। (৩) দেশনাগম্ভীর- দেশন গুরুগম্ভীর। (৪) পটিবেদ গম্ভীর- জ্ঞাত গুরুগম্ভীর। "ইমস্মিং সতি ইদং হোতি" - ইহা হলে উহা হয় অর্থাৎ এই কারনেই এই ফল হয়। "ইমস্মিং অসতি ইদং ন হোতি" -ইহা না হলে উহা হয় না অর্থাৎ এই কারন না থাকলে এই ফল হয় না। ১। অবিদ্যা- (অজ্ঞ) মোহই অবিদ্যা। দুঃখ, সমুদয়, নিরোধ ও মার্গসত্য এ চারসত্যকে না জানাটাই অবিদ্যা। পূর্বান্ত, অপরান্ত অবিচ্ছিন্ন ভবচক্র ০৮ স্থানকে না জানা মোহই অবিদ্যা। ছানিগ্রস্ত চোখ কোনকিছু দেখতে না পাওয়ার মত অবিদ্যা। অবিদ্যা ঢেকে থাকার কারণে ত্রি-ভবের নাম-রূপ দুঃখসত্যকে জানে না। অবিদ্যা- দুঃখ আর্যসত্যকে না জানা। অবিদ্যা- দুঃখের কারণ সমুদয় আর্যসত্য তৃষ্ণাকে না জানা। অবিদ্যা- দুঃখ নিরোধ নির্বান আর্যসত্যকে না জানা। অবিদ্যা- দুঃখ নিরোধের উপায় আর্যসত্য প্রতিপদকে না জানা। এ আর্যসত্যকে না জানাটাই মোমূহ অবিদ্যা। ২। সংস্কার-(চেতনা) প্ররোচনা করা, প্রেরণা দেওয়া স্বভাবকে চেতনা বলে। বিপাক নাম-রূপ সমষ্টিকে গঠন করে দেওয়ার

বুদ্ধের সর্বপ্রথম জ্ঞান প্রাপ্তির অনুভুতি কেমন ছিল।।

Image
বুদ্ধের সর্বপ্রথম উদান কথা বা জ্ঞান প্রাপ্তির অনুভুতির কথা দেশনা করেছেন ভদন্ত পঞ্ঞাদীপ থের মহোদয়। বৌদ্ধধর্মীয় বিষয়। পালিঃ- “অনেক জাতি সংসারং, সন্ধাবিস্সং অনিব্বিসং। গহকারং গবেসন্তো, দুক্খা জাতি পুনপ্পুনং। গহকারক দিট্ঠোসি, পুন গহেন কাহসী। সব্বাতে ফাসুকা ভগ্গা, গহকূটং বিসংখতং, কিসঙ্খার গতংচিত্তং, তণ্হানং খয মজ্ঝগা।” বঙ্গানুবাদঃ- “ গহকারক- জরা, ব্যাধি, মরণের হুকুমতে মেনে চলার বাধ্য জটিত তন্তুর ন্যায় নাম-রূপগৃহকে বারবার নির্মাণ হে গৃহ কারক তৃষ্ণা। পুনপ্পুনং- পুনঃপুন অগণিত, অসংখ্য, অসংখ্যেয় আদি-অন্তহীন দীর্ঘতর কল্প-কল্পান্তর ভব-ভবে। জাতি- জটিত তন্তুর ন্যায় জরা, ব্যাধি, মরণ দুঃখ ভয়ভীতি প্রবাহ স্রোতে জন্ম গ্রহণের। যস্মা- কারনে। দুক্খা- অবর্ণনীয় এই সেই ভব ভবে, নানা লোকধাতুতে নিষ্ঠুর আচরণ দুঃখকষ্ট শিকার হয়েছি। তস্মা- সেই নিষ্ঠুর শিকারের কারনে। গহকারং- অবিচ্ছিন্ন আদি-অন্তহীন কল্ল-কল্পান্তরে একস্কন্ধ, চার স্কন্ধ, পঞ্চস্কন্ধ গৃহকে বারবার নির্মাণ কারক হে তৃষ্ণা। গবেসন্তো- কোত্থেকে কিভাবে হয়েছে কারো'র নিকট শিক্ষা না করে সয়ম্ভূ জ্ঞানবলে অতি সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম মনন পর্যবেক্ষণ সন্ধান করে আসা আম

বুদ্ধক্ষেত্র কি।

Image
বুদ্ধক্ষেত্র সম্পর্কে মূল্যবান দেশনা করেছেন ভদন্ত পঞ্ঞাদীপ থের মহোদয়। বৌদ্ধধর্মীয় বিষয়। বুদ্ধের ক্ষেত্র ০৩টি- ১। জন্মক্ষেত্র, ২। আজ্ঞাক্ষেত্র এবং ৩। বিষয়ক্ষেত্র। জন্মক্ষেত্র-১০ সহস্র চক্রবালঃ সিদ্ধার্থ গৌতম ভূমিষ্ঠকালে ১০-সহস্র চক্রবাল প্রকম্পিত হয়েছিল। আজ্ঞাক্ষেত্র- ১ লক্ষ কোটি চক্রবালঃ বুদ্ধ- রত্নসূত্র, খন্ড সূত্র, ধজাগ্র সূত্র, আটানাটিয সূত্র, মোর সূত্র পরিত্রাণ গুণের অনুভবে কোটি শত সহস্র চক্রবাল বিস্তৃতি জুড়ে এক সাথে কম্পিত হয়েছিল। ধর্মচক্র সুত্র দেশনা কালে সংকম্পি- নিচের দিকে নেমে নেমে কম্পন, সম্পকম্পি- উপর দিকে উঠে উঠে কম্পন, সম্পবেধি- এদিক সেদিক হেলে-ঢুলে এক সাথে কম্পিত হয়েছিল। বিষয়ক্ষেত্রঃ বুদ্ধের জ্ঞানপরিধি অনুসারে অনন্তচক্রবাল জুড়ে বিস্তৃত! এই ত্রিবিধক্ষেত্রে জাতিক্ষেত্র ১০ সহস্র চক্রবাল হলেও আজ্ঞাক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কারণে আজ্ঞাক্ষেত্র অন্তর্ধান হলে জাতিক্ষেত্রও তিরোধান হয়। এ ধরনের কল্পধ্বংসকাল বিষয়টা দিন/রাতে ধ্বংস হয়ে যায় এমন নয়। অসংখ্যেয় কাল ধরে ধ্বংস হতে থাকে। অসংখ্যেয়কে সংখ্যা দিয়ে গণনা করা অসম্ভাবের কারণে উপমা দিয়ে বুঝানো হয়েছে যে দীর্ঘ ০৮ যোজন, প্রস্থ ০৮ যোজন, উ