Posts

Showing posts from June 28, 2021

বুদ্ধের শ্রাবক সংঘের শিষ্য কেন এত ধর্মদেশনা দেয়।

Image
বুদ্ধের শ্রাবক সংঘের শিষ্য কেন এত ধর্মদেশনা দেয় আলোচনায় ভদন্ত পঞ্ঞাদীপ থের মহোদয়। বৌদ্ধধর্মীয় বিষয়। কেউ জিজ্ঞেস করলো- কেন এত ধর্মীয় লেখালেখি পোষ্ট করে? কেন এত ধর্মালোচনা সভা করে? কেন এত ধর্মদেশনা করে? এ লেখালেখি, ধর্মালোচনা সভা, দেশনা করার উদ্দেশ্য কি? বুদ্ধের সময়ে এক রাজকুমার বুদ্ধকে জিজ্ঞেস করেছিলেন। মনোযোগ দিয়ে ঐ ব্যক্তি ধর্মশ্রবন করছে কি করছেনা না জেনে আন্দাজে কাউকে জোর করে কেন এত ধর্মদেশনা করেন? বুদ্ধ- যদি কেউ এরূপ জিজ্ঞেস করে, তাহলে আপনি তাকে কিভাবে বুঝিয়ে বলবেন? বুদ্ধ বললেন- রাজকুমার তোমার পুত্র-কন্যা আছে কি? একজন বাচ্চা সন্তান আছে। বুদ্ধ রাজকুমারকে আবার জিজ্ঞেস করলেন- সেই অবোধ সন্তান যদি চাঁড়াভাঙা খেয়ে ফেলে তখন এভাবে দেখে থাকবে? নাকি জোর করে ভাঙা টুকরোকে বের করবে? বুদ্ধ! চাঁড়াভাঙা পেটের ভেতর পরে গেলে বাচ্চা মরে যাবে তাই জোর করে বের করে ফেলতে হবে বললেন। তখন বুদ্ধ বললেন- মুখ থেকে রক্ত বের হবে না? বুদ্ধ! সন্তানের মুখ থেকে রক্ত বের হবে ঠিক তবে মরবে না। বুদ্ধ! চাঁড়াভাঙা পেটের ভেতরে পরে গেলে নিশ্চিত মরবে, তাই পেটের ভেতরে পরে যাওয়ার আগে বাচ্চাকে চেপে ধরে জোর করে বের করে ফেলতেই হবে বলল

ধর্মশ্রবন করার উপকারিতা কি।

Image
প্রাত্যহিক ধর্মশ্রবন করুন জ্ঞান প্রজ্ঞা বৃদ্ধি করুন আলোচনায় ভদন্ত পঞ্ঞাদীপ থের। বৌদ্ধধর্মীয় বিষয়। প্রাত্যহিক ধর্মশ্রবনের সুযোগে চিত্ত পরিশুদ্ধির জ্ঞান প্রজ্ঞা বৃদ্ধি অভিবৃদ্ধি হয়। চার অপায়গতি বিনিপাত থেকে মুক্ত হয়। বুদ্ধের অমৃতবচন সম্মত বিদর্শন আচরণ অনুশীলন করলে পরম সুখ নির্বানকে প্রত্যক্ষ করার সক্ষম হয়। ধম্মস্সবন সুত্তংঃ পঞ্চিমে ভিক্খবে আনিসংসা ধম্মস্সেবনে। কতমে পঞ্চ। অস্সুতং সুনাতি। সুতং পরিযোদপেতি। কঙ্খংবিতরতি। দিট্ঠং উজুং করোতি। চিত্তমস্স পসীদতি। ইমে খো ভিক্খবে পঞ্চ আনিসংসা ধম্মস্সেবনতি। ধর্মশ্রবনে ৫টি ফলঃ ১। অশ্রুত ধর্ম শ্রুত হয়। ২। শ্রুত ধর্ম পুনশ্রবনে পরিস্কার হয়। ৩। মনের সন্দেহ দূর হয়। ৪। দৃষ্টিঋজু (সম্যকদৃষ্টি) উৎপন্ন হয়, নৈষ্ক্রম্যসঙ্কল্প দৃঢ় হয়। ৫। ধর্ম শ্রবনে চিত্ত প্রশ্রদ্ধি (প্রশান্তি) হয়। অথবা ১। ইহ জীবনে বিমুক্তি জ্ঞান উদয় হয়। ২। অসুস্থ কালে জ্ঞান উদয় হয়। ৩। মরণের মুহুর্তে জ্ঞান উদয় হয়। ৪। স্বর্গের উৎপন্ন কালে জ্ঞান উদয় হয়। ৫। প্রত্যেকবোধি জ্ঞান উদয় হয়। প্রাত্যহিক চারিত্রিক পুণ্যকর্ম। ঘর শোভা পায় বুদ্ধের (ফরাধাং) আসন থাকলে। স্বস্তি শান্তি হয় ঘর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকলে।

দান আসলে কি রকম হয়।

Image
দান মাঠে যুদ্ধ করার মত আলোচনায় ভদন্ত পঞ্ঞাদীপ থের মহোদয়। বৌদ্ধধর্মীয় বিষয়। দান পারমীর হেতু না থাকার ব্যক্তির চেতনা কৃপণ হয়, এ ব্যক্তির চাহিদা শেষ নেই। তাই সে যৎ সামান্যও দান করতে পারে না। এ অতৃপ্ত লোকজগত চাহিদার শেষ নেই যত পায় তার চেয়ে আরো বেশি বেশি চায়। তাই প্রাণীমাত্রই তৃষ্ণার দাস। তাই বুদ্ধ ভাষণ করেছিলেন- "ঊনো লোকো অতিত্তো তণ্হাদাসো"- লোকো- এ জগতটা। ঊনো- শুধু প্রয়োজনের জন্য থাকে। অতিত্তো- কোন সময়েও সন্তুষ্ট তৃপ্ত হয় না। তণ্হাদাসো- তৃষ্ণার দাস হয়ে থাকে। ইতি- এরুপে। ভগবা- বুদ্ধ ভগবা। অবোচ- উত্তমরুপে ভাষণ করেছিলেন। অতৃপ্ত তৃষ্ণার চাহিদটা একটি থাকলে আরেকটি চায়। তাই এ স্বভাব বৈশিষ্ট্য ব্যক্তি সে নিজের কোন কিছুকে ত্যাগ করতে কৃপণতা করে। বুদ্ধের অমৃত বচনে- দান একটি মাঠের যুদ্ধের মত। যে ব্যক্তি মরণকে ভয় করে সে যেমনি যুদ্ধ করতে পারে না, তেমনি যে ব্যক্তি ধন-সম্পদ শেষ হয়ে যাবে এমন ভয় করে সে কখনো দান করার সাহস বা চেতনা থাকে না। কারণ সে কৃপণ। মরণকে ভয় না করা ব্যক্তি যেমনি যুদ্ধ করার সাহস থাকে, তেমনি ধন-সম্পদ শেষ হয়ে যাবে এমন ভয় না করার ব্যক্তিই সশ্রদ্ধে দান করতে পারে, তথা দানবীর হতে

মহাসুপিন বা বহুস্বপ্ন মানে কি।

Image
মহাসুপিন (বহুস্বপ্ন) সম্পর্কিত আলোচনা ভদন্ত পঞ্ঞাদীপ থের মহোদয়। বৌদ্ধধর্মীয় বিষয়। ভন্তে নাগসেন এ জগতে স্ত্রী-পুরুষ, ভাল-মন্দ, দেখা-অদেখা, করা-না করা, অন্তরায় যুক্ত-অন্তরায় মুক্ত দূরে বা কাছে স্বপ্ন দেখে, হাজারো বেশি বিষয় নিয়ে দেখে, এ স্বপ্নগুলো কি? এ স্বপ্নগুলোকে কারা দেখে? মহারাজ! যে কোন আলম্বন চিত্তের মধ্যে উৎপন্ন হয়, সেই আলম্বনকে স্বপ্ন দেখে। মহারাজ ! এই ০৬ জন স্বপ্ন দেখে থাকে- (১) বায়ুপ্রদাহ জনিত স্বপ্ন দেখে। (২) পিত্ত দুর্বল জনিত স্বপ্ন দেখে। (৩) হাঁপানি রোগ জনিত স্বপ্ন দেখে। (৪) দেবগণের ক্রিয়া জনিত স্বপ্ন দেখে। (৫) অভ্যাস জনিত স্বপ্ন দেখে। (৬) পূর্বনিমিত্ত স্বপ্ন দেখে। মহারাজ ! সেই ০৬টি স্বপ্নের পূর্বনিমিত্ত স্বপ্নই সঠিক হয়। অন্যগুলো সঠিক হয় না। ভন্তে নাগসেন! যে পূর্বনিমিত্ত স্বপ্ন দেখে তার চিত্ত কি নিজের ইচ্ছামতে আলম্বনকে নিরীক্ষা করে? নাকি সেই আলম্বনটা চিত্তের পূর্বনিমিত্ত উৎপন্ন হয়? নাকি অন্য কেউ এসে বলে দেয়? মহারাজ ! যে স্বপ্ন দেখে তার চিত্ত এমনিতে সেই আলম্বনকে নিরীক্ষা করে না, অন্য কেউ এসেও বলে দেয় না। সত্যিকার অর্থে সেই আলম্বনই চিত্তের পূর্বনিমিত্ত উৎপন্ন হয়। মহারাজ ! উপমা

বিভাজ্যধর্ম বনাম মিথ্যাদৃষ্টি যুক্তিখণ্ডন মানে কি।

Image
বিভাজ্যধর্ম বনাম মিথ্যাদৃষ্টি যুক্তিখণ্ডন আলোচনায় ভদন্ত পঞ্ঞাদীপ থের মহোদয়। বৌদ্ধধর্মীয় বিষয়। নির্বাণ সম্পর্কিত সত্য জ্ঞান না থাকলে মিথ্যাদৃষ্টি হয়। নাম-রূপ নিরোধ সত্যকে নির্বাণ বলে। তৃষ্ণা ক্ষীণবীজকে নির্বাণ বলে। নির্বাণ পরম নিবৃত্তধাতু। নির্বাণে কিচ্ছু নেই ধারনা করলে উচ্ছেদ মিথ্যাদৃষ্টি। নির্বাণকে সাগর, শহর, নগরের মত ধারনা করলে শাশ্বত মিথ্যাদৃষ্টি। নির্বাণ কি, মিথ্যাদৃষ্টি কি এ তত্ত্বকে বুঝার যথাভূত জ্ঞান না থাকলে মিথ্যাদৃষ্টি হয়। নির্বাণে তৃষ্ণা শেষ হয়। নির্বাণে নাম-রূপ শেষ হয়। নির্বাণে কিচ্ছু নাই ধারনা করলে উচ্ছেদদৃষ্টি হয়। তাই বুদ্ধের দেশিত যথাধর্ম নির্বাণকে জানতে হয়। উক্ত দু'দৃষ্টি থেকে বের হয়ে মধ্যপন্থা মার্গসত্য পথে নির্বাণে পৌঁছানো যায়। যে ধরণ অঢেল দান করুক না দৃষ্টিগত দান হলে নির্বাণে পৌঁছতে পারে না। দান শীল পুণ্যকর্ম নির্বাণে হেতু হয় ঠিক তবে শাশ্বতদৃষ্টি উচ্ছেদদৃষ্টি জড়িত থাকলে নির্বাণের হেতু হয় না। প্রতিত্যসমুৎপাদ নিদানে অবিদ্যা জনিত পাপ, পুণ্য, ধ্যান অভিসংস্কার কর্ম পরবর্তী জন্মে কর্মানুসারে প্রতিসন্ধি বিজ্ঞাণ হয়। নির্বাণ হয় না। বিদর্শন জ্ঞানই একমাত্র নির্বাণ গামিনী প

কর্কশ বাক্য জনিত আম্রপালির কঠিন কর্ম বিপাক কেমন ছিল।

Image
কর্কশ বাক্য জনিত অম্বপালির (আম্রপালি) কঠিন কর্মের বিপাক ভোগ আলোচনায় ভদন্ত পঞ্ঞাদীপ থের মহোদয়। বৌদ্ধধর্মীয় বিষয়। অম্বপালি বৈশালী রাজ্যে রূপের অনন্যা খ্যাতি সম্পন্না এক গণিকা। তিনি সিখী বুদ্ধের সময়ে ভিক্ষুনী প্রব্রজিতা, মাতৃগর্ভ প্রতিসন্ধিকে বিরাগ হয়ে উপপাতিক জন্ম লাভের জন্য প্রার্থনা করার ফলে ইহজন্ম গৌতম বুদ্ধ সময়ে বৈশালী রাজ্যে রাজার আম্রকাননে আম গাছের শাখায় উপপাতিক জন্ম হয়েছিল। এই নারী ফুস্স বুদ্ধের সময়ে বুদ্ধের বোন হয়েছিলেন। সেই সময়ে ইনি রূপের অপরূপা হওয়ার জন্য প্রার্থনা করে ইহজন্মে রূপের অতুলনীয়া হলো। আম গাছের শাখায় জন্ম হবার কারণে অম্বপালি নামে ডাকা হয়। অম্বপালির চেহারা এতই সুন্দর তাকে দেখে কেউ তৃপ্ত হতো না। বৈশালী লিচ্ছবী রাজকুমাররা কেউ বলে আমি নেবো, সেই বলে আমিই নেবো এই বিতর্কতে পরেছিল। তখন বৈশালী গণ্যমান্যরা এই বিতর্ক নিরসনের জন্য মিমাংসা করে দিলো অম্বপালি সব রাজকুমারের গণিকা এবং নির্ধারণ করে দিলো- তার কাছে একবার গেলে তাকে গুণতে হবে ৫০ কাহন। অম্বপালি মগধাধিপতি বিম্বিসার রাজকুমারের সাথে গোপন প্রেমে একপুত্র সন্তান হয়েছিল। পুত্রও পরবর্তী সময়ে বুদ্ধের শাসনে প্রব্রজিত হলে কোণ্ডণ্য স্

মনের ভেতরে হিরের টুকরো মানে কি।

Image
মনের ভেতরে হিরের টুকরো আলোচনায় ভদন্ত পঞ্ঞাদীপ থের মহোদয়। বৌদ্ধধর্মীয় বিষয়। চিত্ত অকারণে উৎপন্ন হয় না। রমণীয় বিষয় থাকলে উৎপন্ন হয়। চিত্ত যে বিষয়কে পছন্দ করে সে বিষয়ে উৎপন্ন হয়। ইষ্ট বিষয়ে রমিত হলে পুণ্যচিত্ত হয়। অনিষ্ট বিষয়ে রমিত হলে পাপচিত্ত হয়। ইষ্টচিত্তও নয়, অনিষ্টও নয়, ধ্যান বিষয়ে সমাহিত/একাগ্র হলে ধ্যানচিত্ত হয়। যে বিষয়ে যে চিত্ত উৎপন্ন হোক না উৎপন্ন চিত্তের স্বভাবকে উদয়ব্যয়, অনিত্য, দুঃখ, অনাত্ম লক্ষণ দর্শনে চিত্তের প্রতি বিরাগ বিমুখ অনাস্রব হলে লোকুত্তর মুক্ত/বিমুক্ত অব্যাকৃত ক্রিয়াচিত্ত হয়। কিছুই না জানলে ভবঙ্গচিত্ত। ধ্যানচিত্তের সাথে সখ্য করলে আত্মমান হয়। ধ্যানচিত্তকে স্মৃতি করলে অনাত্ম জ্ঞান হয়। ধ্যানচিত্তের সাথে সখ্য করলে রূপারূপবচর কুশলচিত্ত। ধ্যানচিত্তের সাথে সখ্য না করলে কামাবচর পাপপুণ্য চিত্ত। তবে এগুলো লোকোত্তর চিত্ত নয়। লোকোত্তর চিত্তে পৌঁছতে গেলে- ষড়ায়তনে যে চিত্ত হোক না উৎপন্ন চিত্তের স্বভাব ধর্মতাকে বিদর্শন করতে হয়। সমাধিচিত্তে স্মৃতি রত অবস্থায় (ব্যথা বেদনাও উৎপন্ন হয়)। স্বস্তি ব্যথা বেদনাও হয়। অস্বস্তি ব্যথা বেদনাও হয়। এ ব্যথা বেদনা উৎপন্ন হলে হিরা টুকরো পেয়েছে বল

বৌদ্ধধর্মে উপেক্ষা মানে কি।

Image
উপেক্ষা কি ? আলোচনায় ভদন্ত পঞ্ঞাদীপ থের মহোদয়। বৌদ্ধধর্মীয় বিষয়। লৌকিক ব্যবহার উপেক্ষাঃ- অনেকেই নিজের মত না হলে উপেক্ষাকে ব্যবহার করে। তার মানে তাকে বাদ দিয়ে নিরপেক্ষ অবস্থান করা মনে করে। ধর্মের উপেক্ষা সে রকম নয়। ব্রহ্মবিহার উপেক্ষাঃ- মৈত্রী-করুণা-মুদিতার চেয়ে এ উপেক্ষা উত্তম। নিন্দা করলেও মনের কষ্ট করে না। প্রশংসা করলেও খুশি হয় না। এটিকে ব্রহ্মবিহার উপেক্ষা বলে। মানেই নিন্দা-প্রশংসার মধ্যস্থতা চিত্তকে উপেক্ষা বলে। ধ্যান উপেক্ষাঃ- ১ম ২য় ৩য় ৪র্থ রূপবচর ধ্যানচিত্তের চেয়ে অরূপাবচর ধ্যানচিত্ত উত্তম। এজন্যে অরূপাবচর ধ্যান অনুশীলনের জন্য রূপবচর ধ্যানচিত্তকে উপেক্ষা করে যায়। বিদর্শনের সংস্কার উপেক্ষা জ্ঞানঃ- উদয়ব্যয়, অনিত্য, দুঃখ, অনাত্ম লক্ষণ জড়িত সুখ-দুঃখের দোষযুক্ত নাম-রূপ সংস্কারধর্মকে বিমুখ হয়ে লোকোত্তর মার্গফলকে উপলব্ধির উপেক্ষা জ্ঞান। বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ- উপমাঃ রাজাকে প্রজা নিন্দা করে। মন্ত্রী শুনে রাজাকে এ কথা বলে দেন। রাজা মন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলেন- অন্ধকারে কিছু দেখা যাই কিনা? মন্ত্রী উত্তরে বললেন- না। রাজা মন্ত্রীকে বললেন- এজন্যেই তো মন্ত্রীর মনে কষ্ট পায়। শুন মন্ত্রী! অন্ধকারে কা

পুণ্য পাথেয় নির্বাণ অব্ধি নিজের সাথে থাকে কিনা।

Image
মৃতদেহকে ওরা খেয়ে ফেলে, পুণ্য পাথেয় নির্বাণ অব্ধি নিজের সাথে থাকে আলোচনায় ভদন্ত পঞ্ঞাদীপ থের মহোদয়। বৌদ্ধধর্মীয় বিষয়। বুদ্ধ কপিলাবস্তু নিগ্রোধারামে অবস্থান কালে সময় সুযোগ হলে রাজা মহানাম আরামে এসে বুদ্ধ ও ভিক্ষুসংঘকে দর্শন করে যেতেন এবং অভিজ্ঞ ভিক্ষুদের সাথে ধর্মালাপ করতেন। একদিন আরাম থেকে রাজধানীর দিকে ফিরার মাঝ পথে হস্তী ও বিভিন্ন হিংস্র প্রাণী দেখতে পেয়ে এবং নগরের ব্যতিব্যস্ত শ্রমজীবী জনবহুল লোকেদের অবস্থাকে দেখে তার মনে মরণের ভয় উৎপন্ন হলো। একদিন বুদ্ধের নিকট এ কথা নিবেদন করলেন- বুদ্ধ অমুক দিন এখান থেকে নগর দিকে ফিরে যাবার পথে আমার মনে এরূপ ভয় উৎপন্ন হচ্ছিলো। যাবার পথে হঠাৎ আমি মারা গেলে পরকালে কি গতি হতে পারে? বুদ্ধ রাজার মনের স্বভাবকে জেনে ধর্মোপদেশ দিলেন- আপনি মারা গেলে দুর্গতি হবে না। রাজা! ঘি পূর্ণ মাটিরপাত্রকে গভীর জলের ভেতরে ভেঙে দিলে চাঁড়াভাঙা নিচে পরে গিয়ে ঘিগুলো যেমনি জলের উপরে ভেসে উঠে। তেমনি যাদের চিত্ত শ্রদ্ধা, শীল, শ্রুত, ত্যাগ, প্রজ্ঞা থাকে তাদের চিত্ত অপায় গতি না হয়ে উর্ধ্ব সদ্গতিই হয়। রাজা! মানুষ মারা গেলে তার মৃতদেহকে কাক, শকুন, কেঁচো খেয়ে ফেলে কিন্তু শ্রদ্ধা, শী